ঝামেলামুক্ত বিমান ভ্রমণের ৭ টিপস

Airport-Travelনিয়মিত বিমান ভ্রমণে আপনার পরিচয় হতে পারে নতুন কিছু কৌশলের সঙ্গে। এমনই কিছু কৌশল জানার চেষ্টা করেছি নিয়মিত বিমানযাত্রীদের কাছে থেকে। বিমান ভ্রমণের অভিজ্ঞতা যদি কম থাকে কিংবা একেবারেই না থাকে তবে আজকের এই ৭টি সহজ কৌশল আপনার জন্য।

অনলাইনে চেক-ইন করুন
বিমানবন্দরে ফ্লাইট চেক-ইন করতে বেশ বেগ পেতে হয়। চেক-ইনে সবসময় বিশাল লাইন থাকে। আপনি যদি ফ্লাইট ধরতে বাসা থেকে ৩ ঘণ্টা আগে বের হতে না চান তাহলে চেক-ইন অনলাইনে সেরে ফেলুন। অনলাইনে চেক-ইন করতে ১০ মিনিটের বেশি সময় লাগবে না।

ব্যাগ নিয়ে বের হবার আগে ওজন মেপে নিন
লাগেজের ওজনের ব্যাপারে প্রতিটি এয়ারলাইন্সের নিজস্ব কিছু নিয়মকানুন থাকে। বেশির ভাগ এয়ারলাইন্সে হাতের ক্যারি-অন ব্যাগের ওজন সহ ৩৩ কেজি পর্যন্ত বহনের অনুমতি দেয়া হয়। ব্যাগের ছাড়পত্র সম্পর্কে নিশ্চিন্ত থাকতে হলে আগে আপনার এয়ারলাইন্সের নীতিমালা জানুন। তারপর নিজের ব্যাগের ওজন মেপে নিশ্চিত হন আপনি ওজন নীতিমালার মধ্যে আছেন কিনা। নীতিমালার বাইরে চলে গেলে হয় আপনাকে বাড়তি ওজনের জন্য বাড়তি টাকা দিয়ে ছাড়পত্র নিতে হবে অথবা কিছু জিনিস ফেলে রেখে যেতে হবে।

Haltrip Post

Air-Food
বিমানের খাবার থেকে দূরে থাকুন
বিমানের খাবারের দাম ব্যয়বহুল। তাই একটু প্রস্তুতি নিয়ে রাখলে খাবার বাবদ কিছু টাকা বাঁচানো সম্ভব। চকলেট, চিপস, কুকিজের মত শুকনো খাবার সাথে রাখুন। বিমানের খাবার দামি হলেও সব বিমানের খাবার ভাল নাও হতে পারে। সস্তা এয়ারলাইনের বস্তাপচা খাবার বাড়তি দামে কিনে খাওয়ার থেকে চকলেট-চিপস খাওয়া অনেক ভাল।

পকেটের জিনিস ক্যারি-অনে রাখুন
সিকিউরিটি চেকের আগেই ব্যক্তিগত মোবাইল ছাড়া বাকি সবকিছু পকেট থেকে বের করে ফেলুন ও ক্যারি-অন ব্যাগে রাখুন। এতে আপনার সিকিউরিটি চেক খুব দ্রুত হয়ে যাবে ও লাইনে থাকা বাকিদেরও উপকার হবে।

পার্কিং স্পেসের ছবি তুলে রাখুন
বিমানবন্দরের পার্কিং সাধারণত বিশাল আকৃতির হয়ে থাকে। কোথায় পার্কিং করেছেন এটা ভুলে যাওয়া খুব স্বাভাবিক। এতো বড় পার্কিং-এ গাড়ি খুঁজে বের করা একটা বাড়তি ঝামেলার ব্যাপার। তাই গাড়ি পার্ক করার পরে মোবাইলে একটা ছবি তুলে রাখুন। এতে গাড়ি খুঁজে পেতে সুবিধা হবে।

সিট বাছাই করা
আগে আগে বিমান টিকিট বুকিং করলে আপনি অসংখ্য খালি সিট থেকে নিজের পছন্দ মত সিটটি বুক করতে পারবেন। অনলাইনে টিকিট বুক করার চেষ্টা করুন ও দেখে শুনে সিট বাছাই করুন। জানালার পাশের প্রথম সারির সিট বুক করার চেষ্টা করুন। প্রথম সারিতে বসার সুবিধা হল এখানে পা মেলার বিশাল জায়গা পাওয়া যায়। টয়লেটের পাশের সিট থেকে দূরে থাকুন।

Airport-Lounge
এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে ফ্যামিলি রুম
আপনি যদি শিশুসহ পরিবার নিয়ে বিমান ভ্রমণ করার পরিকল্পনা করে থাকেন তবে এয়ারপোর্টের লাউঞ্জ এক্সেস নিতে পারেন। একা একা হয়তো লাউঞ্জে খরচ করাটা ব্যয়বহুল হতে পারে। তবে পরিবার নিয়ে লাউঞ্জে ঢুকলে খরচের টাকা উসুল করে ফেলা সম্ভব। নানা রকমের নাস্তা, বিনোদনের ব্যবস্থা, টিভি, ওয়াইফাই এমন অনেক সুবিধাই রয়েছে লাউঞ্জে।

এসব কৌশল অবলম্বন করে আপনি আপনার ভ্রমণকে করতে পারেন আরামদায়ক। সঠিক ভাবে কৌশল অবলম্বন করতে পারলে আপনি ইকোনমি ক্লাসের খরচে ফার্স্ট ক্লাস ভ্রমণ উপভোগ করতে পারবেন।