নতুন পাসপোর্ট করতে চাইলে

Bangladeshi Passportঘুরতে যাবেন দেশের বাইরে? এজন্য প্রথমেই লাগবে বৈধ পাসপোর্ট। দেশের যে কোন আঞ্চলিক বা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস থেকে পাসপোর্ট করার সুবিধা রয়েছে।

পাসপোর্টের ধরণ
বাংলাদেশ সরকার তিন ধরনের পাসপোর্ট প্রদান করে।
১. আন্তর্জাতিক সাধারণ পাসপোর্ট (সবুজ)
২. সরকারি পাসপোর্ট (নীল)
৩. কূটনৈতিক পাসপোর্ট (লাল)

যা লাগবে
পাসপোর্ট করার জন্য প্রথমেই দরকার সদ্য তোলা ছবি। ছবি অবশ্যই কোনো ‘ফটো ল্যাব’ থেকে প্রিন্ট করে নিতে হবে। তবে এই ছবি আপনার পাসপোর্টে যুক্ত হবে না। এছাড়াও জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সনদ, জিও (GO) অথবা এনওসি (NOC) (প্রযোজ্য হলে) লাগবে।

Haltrip Post

সময় ও খরচ
সাধারণ সময়ে (২১ দিন) পাসপোর্ট পেতে খরচ হবে ৩৪৫০ টাকা। তবে জরুরি প্রয়োজনে ৬৯০০ টাকা ফি দিয়ে ৭ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যায়। জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদের নাম অনুযায়ী নির্ধারিত ব্যাংকে নির্ধারিত টাকা জমা দিতে হবে। সোনালী ব্যাংকের পাশাপাশি ওয়ান ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, প্রিমিয়ার ব্যাংক ও ঢাকা ব্যাংকের যে কোন শাখায় টাকা জমা দিতে পারবেন।

ফরম পূরণ
এই ঠিকানা (bit.ly/2PWScxw) থেকে পাসপোর্ট ফরম ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে পূরণ করুন। প্রয়োজনে ওয়েবসাইট (www.passport.gov.bd) থেকেও অনলাইনে ফরম পূরণ করতে পারবেন।

নমুনা ফরম দেখে সঠিকভাবে ফরম পূরণ করুন। পূরণকৃত ফরম ‘ব্যাক টু ব্যাক’ ফটোকপি করে নিন। দুই সেট ফরমের উপর সদ্য তোলা ছবি আঠা দিয়ে যুক্ত করুন।

এরপর টাকা জমার মূল রশিদ মূল ফরমের উপরে ডান দিকে আঠা দিয়ে যুক্ত করুন। রশিদের একটি কপি ফটোকপি ফরমের উপর একইভাবে যুক্ত করুন।

এরপর ফরমে উল্লেখিত ব্যক্তিদের মাধ্যমে ছবি সত্যায়িত ও ফরমের নির্ধারিত অংশটুকু (তৃতীয় পৃষ্ঠা) পূরণ করুন। দুই সেট ফরমের সাথে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্মনিবন্ধন সনদ সংযুক্ত করুন।

কোথায় জমা দেবেন
দেশের প্রত্যেক বিভাগীয় শহরে রয়েছে বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস (bit.ly/2DI1g6l)। এছাড়া ঢাকার কেরানীগঞ্জ, যাত্রাবাড়ীসহ দেশের ৫৮টি জেলা শহরে রয়েছে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস (bit.ly/2DVP7M2)।

সরকারি ছুটির দিন বাদে সপ্তাহের বাকি পাঁচদিন সব পাসপোর্ট অফিস খোলা থাকে। অফিস চলাকালীন পূরণকৃত ফরম জমা দিতে পারবেন। সাধারণত ১২টা – ১টা পর্যন্ত ফরম জমা নেয়া হয়। জমা দেয়া ফরম ও কাগজপত্র যাচাই করে সংশ্লিষ্ট কমকর্তা আপনাকে পরবর্তী কাজের নির্দেশনা দেবেন।

এই নির্দেশনার মধ্যে থাকবে ফরমের তথ্য অনলাইনে লিপিবদ্ধকরণ, ছবি উঠানো, ডিজিটাল স্বাক্ষর প্রদান ও আঙুলের ছাপ গ্রহণ।

কখন পাবেন
সব কাজ শেষ হলে আপনাকে পাসপোর্ট প্রদানের সম্ভাব্য তারিখসহ ‘স্লিপ’ দেয়া হবে। ওই তারিখে এই স্লিপ জমা দিয়ে পাসপোর্ট গ্রহণ করতে হবে। তবে নির্ধারিত সময়ে পাসপোর্ট প্রাপ্তি ‘পুলিশ ভেরিফিকেশন’ এর উপর নির্ভর করে।